আনারস মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। আনারস সুস্বাদু, রসালো ও স্বাস্থ্যকর একটি ফল।আজ আলোচনা করা হবে আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে।
আনারস খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। অনেকের কাছে আনারস খুব প্রিয় একটি ফল, আবার অনেকের কাছেই অপ্রিয় ফল। আনারস খেতে খুব সুস্বাদু। পুষ্টিগণের ভরপুর একটি ফল।
আনারসের উৎপত্তিস্থল হলো দক্ষিণ আমেরিকা।
আমরা এবার যেন নেব আনারসের মধ্যে কি কি পুষ্টি আছে?
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে জানতে ক্লিক করুন।
এবার আমরা জেনে নেব আনারসের উপকারিতা গুলি কি কি?
আনারস আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। কেননা আনারসের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনাদের শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আর আমাদের শরীরকে কঠোর পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে আনারসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
আপনারা যদি ঠান্ডায় বা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। তাহলে আনারস খেতে পারেন। কারণ এই আনারসের মধ্যে আছে ব্রোমেলিন। যা একটি এনজাইমার।এটা প্রদাহ জনক বৈশিষ্ট্য সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতেও সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আনারস আমাদের হাড় শক্ত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কেননা আনারসের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
আনারস ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা আনারসের রস চর্বি জমার বিরুদ্ধে কাজ করে। কাঁচা আনারসের রস ওজন কমাতে প্রভাব ফেলতে পারে।
আনারস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কেননা, আনারসের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । এছাড়াও এমন কিছু যৌগ আছে যা অক্সডেটিভ ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। এরা সবাই ক্যান্সারের সাথে যুক্ত এই যৌগ গুলির মধ্যে একটি এনজাইম ব্রোমেলাইন যা ক্যান্সার কোষে কোষে মৃত্যুকে উদ্ভিদ করতে পারে এবং শ্বেত রক্তকণিকা ফাংশানের সাহায্য করতে পারে।
আনারস হজম করতে সাহায্য করে। কেননা আনারসের মধ্যে আছে ব্রোমেলাইন একদল হজম সহায়ক কারী এনজাইম যা প্রোটিন ভেঙে দেয়। আনারস হজম করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের অগ্নাশয়ে অপ্রতুলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে আনারস খুবই উপকারী।
আনারস আমাদের চোখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, আনারস আমাদের ম্যাক্যুলার ডিপ্রেশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই রোগটি হওয়ার ফলে আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যায়। আনারসে মধ্যে আছে বিটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে ম্যাকুলার ডিপ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৩০% পর্যন্ত কমে যায়। আনারস খেলে আমাদের চোখ সুস্থ থাকে।
আনারসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা মুখের ডার্ক স্পট এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
আনারস এমন একটি ফল যা পুষ্টিগুনে ভরপুর। আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস আছে। এইসব উপাদান আমাদের দেহে পুষ্টিগুণের অভাব পূরণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আনারসের রস কৃমি নাশক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। যদি নিয়মিত কয়েকদিন আনারসের রস খাওয়া হয়, তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যাবে।
এবার আমরা জেনে নেব আনারসের অপকারিতা গুলি
আমরা জেনে নিলাম আনারস খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা। সবশেষে বলি, সব কিছু জেনে বুঝে সঠিক পরিমাণে আনারস খান।
আশা করি, আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে। যদি কোন কিছু প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানান। সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।