কদবেলের উপকারিতা সর্ম্পকে কিছু দুর্দান্ত তথ্য | 2024

কদবেলের উপকারিতা সর্ম্পকে কিছু দুর্দান্ত তথ্য

 

কদবেল এই শব্দটা হয়তো কেউ শুনেছেন আবার কেউ প্রথমবার শুনছেন। কিন্তু কদবেলের উপকারিতা অনেক ।এটি হল একটি টক ফল, গ্রীষ্মকালীন ফল। কদবেলের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার এবং অন্যান্য বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আজকে আমরা জেনে নেব, এই কদবেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

 

কদবেলের উপকারিতা

কদবেল কি?

 

কদবেল হল উপরের আবরণ শক্ত এবং বেলের মতো খসখসে একটি ফল। এই গাছটি লম্বা হয় প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ ফুট। কদবেলের গাছ পাতা ঝরা বৃক্ষ।কদবেল হলো এমন একটি ফল যা খুবই জনপ্রিয়। ভারত, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কায় ব্যাপকভাবে জন্মায় কদবেল। এটিতে একটি কলার পুডিং এর মত কোর আছে, যার সঙ্গে গার্ঢ় বাদামি সজ্জা ও আঠালো, লোমস বীজ আছে। কদবেল সাধারণ স্বাদে টক। তাই কদবেল থেকে আচার, চাটনি ইত্যাদি বানানো।

 

কদবেলের উৎপত্তি:

 

কদবেলের উৎপত্তি হলো ভারতবর্ষের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা।

 

কদবেলের বিজ্ঞান সম্মত নাম কি?

 

কদবেলের বিজ্ঞান সম্মত নাম হল Limonia Acidissima।

 

কদবেলের ইংরেজি কি?

 

কদবেলের ইংরেজি হল Wood Apple ।

এবার আমরা জেনে নেব কদবেলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।

 

কদবেলের পুষ্টি উপাদান :

  • খাদ্যশক্তি
  • প্রোটিন
  • ফাইবার
  • মিনারেল
  • থায়ামিন
  • রাইবোফ্লাভিন
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন বি
  • আয়রন
  • শর্করা
  • ক্যালসিয়াম
  • আমিষ
  • ফসফরাস

 

প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টি উপাদান:

  • খাদ্য শক্তি – ১৩৪ কিলো ক্যালরি
  • প্রোটিন – ৭ গ্রাম
  • ফাইবার – ৫ গ্রাম
  • ফ্যাট – ৪ গ্রাম
  • খনিজ – ২ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম – ১৩০ মিলিগ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট – ১৮ গ্রাম
  • ফসফরাস – ১১০ মিলিগ্রাম
  • ফাইবার – ৫ গ্রাম
  • আয়রন – ৬ মিলিগ্রাম
  • জিংক – ১০ মিলিগ্রাম
  • ম্যাঙ্গানিজ – ১৮ মিলিগ্রাম
  • শর্করা – ১৮.১ গ্রাম
  • খাদ্য আঁশ – ৫ গ্রাম
  • জল – ৬৪.২ গ্রাম

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে জানতে ক্লিক করুন।

কদবেলের উপকারিতা:

 

কদবেল হজম শক্তি বৃ্দ্ধি করতে সাহায্য করে:

 

কদবেল আমাদের হজম শক্তি উন্নতি করতে সাহায্য করে। কদবেলের রস পাকস্থলী এবং পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। কদবেল আমাশয় এবং ডায়রিয়া মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কদবেলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা হজমে সহায়তা  করে।

কদবেল সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করে:

 

কদবেল সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর সাথে অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন অসুস্থতা সংক্রান্ত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং গ্রীষ্মের তাপে আমাদেরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে কদবেল।

 

কদবেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

 

কদবেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহায্যকারী উপাদান। রক্ত সঞ্চালনে কার্বোহাইড্রেট এর প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে কদবেল ডায়াবেটিসের গতি ধীর করে দেয়। এবং আমাদের শরীরে শর্করা পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

 

কদবেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক:

 

কদবেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে একটি উপকারী উপাদান। কারণ কদবেলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যার সমাধান করতে ফাইবার একটি অন্যতম উপাদান ।

 

কদবেল ওজন কমাতে সহায়ক:

 

কদবেল আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কদবেলের মধ্যে আছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার। যা আমাদের শরীর অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয় ।

কদবেল শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ করে:

 

যেসব ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে সেসব ব্যক্তিদের জন্য কদবেল খুবই উপকারী একটি উপাদান। যেসব ব্যক্তি কফের বৈশিষ্ট্যের কারণে হাঁপানি, গলা ব্যথার মতো রোগের জন্য কদবেল উপকারী বলে মনে করা হয়।

পাইলস এবং আলসারের সমস্যা সমাধানে কদবেল :

 

কদবেল পাইলস ও আলসারের চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ কদবেলের টর্নেট এবং ফাইনালে উপাদান আছে যা উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই কদবেল পাইলস এবং আলসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

 

কদবেল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:

 

আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী একটি উপাদান হল কদবেল। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কদবেল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে থাকে।

 

কদবেল আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে:

 

কদবেল আমাদের শরীরকে পরিষ্কার করে। কারণ কদবেলের মধ্যে আছে থায়ামিন ও রাইবোফ্লাভিন। এছাড়াও কদবেলের রস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

 

কদবেল মাড়ির সমস্যার সমাধান করে:

 

কদবেল মাড়ির সমস্যার সমাধানে একটি সাহায্যকারী উপাদান। কারণ কদবেলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। যা মাড়ির সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কদবেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি বোধগম্য হয়েছে। যদি ভালো লাগে আমাদের এই আর্টিকেলটি তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যদি কোন সমস্যা থাকে কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ, জানাই আমাদের এই আর্টিকেলটি যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। সুস্থ থাকুন।

 

 

 

Category:

Leave a Comment