সুস্থ ও কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কারিগর হলেন সেই সমাজের নারীরা। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রয়োজনেই নারীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা যে নামেই ডাকা হোক না কেন- নারীর সঙ্গে মায়া, মমতা আর ভালোবাসার রয়েছে অবিচ্ছেদ্য সর্ম্পক । পরিবার কিংবা কাছের মানুষটির জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টার ত্রুটি থাকে না তাদের। কিন্তু নিজের যত্নের ব্যাপারে অবহেলার পাশাপাশি বিবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় নারীদেরই ভুগতে দেখা যায় বিভিন্ন সময়। একজন নারীর জন্মের শুরু থেকেই তার ভেতরে লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যৎ মাতৃসত্ত্বা। তার প্রতিদিনের বেড়ে ওঠার মাঝেই সেই মাতৃসত্ত্বা ধীরে ধীরে পূর্ণতার দিকে ধাবিত হয়। যে শরীরে প্রস্ফুটিত হয় প্রাণের স্পন্দন, সেই শরীরের অভ্যন্তরীণ কর্ম পদ্ধতি যে বিশেষ এবং অন্যদের থেকে আলাদা, সে বিষয়ে কারোই সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য বলতে এমন একটি সামগ্রিক অবস্থা নির্দেশিত হয় যা কেবল রোগের অনুপস্থিতিই বোঝায় না, পাশাপাশি শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সকল দিক থেকেই সম্পূর্ণভাবে ভালো থাকাকেও বোঝায়। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রসঙ্গ উঠলে সাধারণত কেবল প্রজনন সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের কথা ধারণা করা হয়, এবং কিছুদিন পূর্বেও সমাজে এই বিষয়টি ছিলো অনেকটা ট্যাবুর মতো। নারীর স্বাস্থ্যে শুধু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যই অন্তর্গত নয়, বরং নারীর সামগ্রিক শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয়াবলী ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমানে সমাজের দৃষ্টি তাই নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের বদলে সামগ্রিক নারীর স্বাস্থ্যের দিকে ফেরানো একটি সময়ের দাবী।
নারীস্বাস্থ্য যে শুধু শারীরবৃত্তীয় পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল- তা কিন্তু নয়, এক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্য গঠনে বড় ভূমিকা পালন করে দরিদ্রাবস্থা, দৈনন্দিন কর্মসূচী ও পারিবারিক দায়-দায়িত্ব। পারিপার্শ্বিক বহুবিধ অসুবিধা বছরের পর বছর ধরে মোকাবিলা করে এগিয়ে চলা নারীদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলছে তাদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা। বিশেষত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীদের প্রয়োজনীয় ন্যুনতম স্বাস্থ্য সেবা পাওয়াটাই বেশ কঠিন।
এই ধরনের প্রতিকূলতার আসল প্রভাব আরও স্পষ্ট বোঝা যায় বর্তমান সমাজের নারী-পুরুষের লিঙ্গের আনুপাতিক মূল্যায়ন থেকে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় নারীদের অবস্থানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসূচকের নিরিখে পুরুষদের তুলনায় নারী এখনো অনেকটাই দুর্বল অবস্থানে রয়েছেন। ‘অসুস্থ হওয়ার সুযোগ কই! অসুস্থ হলে সবকিছু সামলাবে কে!’ – শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারে এমনই অসহায়ত্ব যেন ফুটে ওঠে নারীর কথায়। নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালি কাজে যে পরিমাণ শ্রম ও সময় দেন সেটা অনেক ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক রকম পরিশ্রমের। আর পেশাজীবী নারী হলে তো কথাই নেই, ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই শ্রম দিতে হয় সমান তালে। ঘরে-বাইরে দুই-ই সামলাতে গিয়ে অনেক নারীই যেন নিজের শারীরিক-মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকির কথা ভাবারও সময় পান না। কিন্তু সব সামলাতে হয় বলেই নিজেকে নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের পূর্বে বহুবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা গেলেও স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলাসহ বিভিন্ন কারণে এখন বেশ অল্প বয়সেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন নারীরা।
নারীর সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রজনন স্বাস্থ্যকে যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই, তেমনি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাকেও গুরুত্বের সাথে সমাধান করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে বড় একটি প্রজননক্ষম জনগোষ্ঠী (১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী) রয়েছে যারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ১৯ ভাগেরও বেশি। তবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সচেতনতার অভাবে তাদের মধ্যে শতকরা ৫৫ ভাগ নারীর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও উপলব্ধি না থাকায় কিশোরী মাতৃত্বহার বাড়েছ। তাই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে লজ্জা নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি।
বাংলাদেশের মাত্র ১৩ শতাংশ নারী প্রসবকালে দক্ষ ধাত্রীর সেবা পান এবং শিশু জন্মদানের সময় প্রতি বছর প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়। প্রসবকালীন জটিলতার জন্য প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন মায়ের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যুর মূল কারণ প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অজ্ঞতা। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিজ্ঞানভিক্তিক শিক্ষার অভাবে বাল্যবিয়ে, কম বয়সে গর্ভধারণ, গর্ভপাত, অনিরাপদ মাতৃত্ব, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সমস্যার ঝুঁকি, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, যৌনবাহিত রোগ ইত্যাদি ঘটছে অহরহ।
বাংলাদেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নারীই কখনো না কখনো প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। এজন্য প্রছনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং মায়েদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। কৈশোরবান্ধব ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাসংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রমে তাই পুষ্টি, এইচআইভি, পয়ঃনিষ্কাশন, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা, জীবন দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা এবং গণমাধ্যমে অংশগ্রহণের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্রতিবন্ধী কিশোরী নারীরাও যাতে এসব সেবা পায় সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে নীতি সংশোধন, কৌশল ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং নতুন কর্মসূচি তৈরির মাধ্যমে বিষয়গুলির সমাধান করা উচিত। এছাড়া স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ, হাত ধোয়ার জায়গায় সাবান রাখা ও স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে প্রচারপত্র ইত্যাদির মতো বিষয়গুলো যাতে ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকেও এগিয়ে আসতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, গর্ভকালীন ও প্রসবোত্তর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, গর্ভকালীন বা প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে নারীদের অবগতকরণ ও তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি প্রভৃতির মাধ্যমে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব।
প্রজনন স্বাস্থ্যের পাশাপাশি নারীর অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যার প্রতিও সমানভাবে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতায় সমস্যা, জরায়ু এবং জরায়ুমুখের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, বিশেষত চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ, ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত হাড়ের ঘনত্বের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম ইত্যাদি অসুবিধাও তার সমাধান বিবেচনায় আনতে হবে সামগ্রিক নারী উন্নয়নের জন্য।
নারীদের মধ্যে যেসব ক্যান্সারের ঝুঁকি দিনে দিনে বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো জরায়ুমুখের ক্যান্সার। বিশ্বজুড়ে নারীদের ক্যান্সারে মৃত্যুর চতুর্থ বড় কারণ এই সার্ভিক্যাল ক্যান্সার। হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। সময় থাকতে এই জরায়ুমুখের ক্যান্সার রোধ করার জন্য স্ক্রিনিং এ প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষাটি সম্পাদন করা যায়। এটি একটি অত্যন্ত সহজ পরীক্ষা হলেও অধিকাংশ নারীই উপেক্ষা করে থাকেন যথাযথ সচেতনতার অভাবে। ত্রিশ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলারা এই পরীক্ষা করানো শুরু করতে পারেন কিন্তু বয়স চল্লিশ পেরোলে এই পরীক্ষাটি দুই-তিন বছরে অন্তত একবার করে করা খুবই আবশ্যক এই প্রাণঘাতী ক্যান্সার দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পুরো বিশ্বে। ২০ থেকে ৫৯ বছরের নারীদের ক্যান্সারে মৃত্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারী মারা যান স্তন ক্যান্সারে। একসময় এটা চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের সমস্যা বলে ধরে নেওয়া হলেও এখন তরুণীদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা যাচ্ছে। পরিবারের অন্য কারো মাঝে স্তন ক্যান্সারের উপস্থিতি, বিআরসিএ জিনের মিউটেশন, বুকে তেজস্ক্রিয় রশ্মির থেরাপি, বেশি বেশি লাল মাংস খাওয়া প্রভৃতি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়া জীবনযাপনে অতিরিক্ত প্রসাধনী নির্ভরতা কিংবা বেশি মাত্রায় গন্ধনাশকের ব্যবহার থেকেও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একটি সহজ ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা অথবা ক্ষেত্র বিশেষে স্তনের আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা। যদি পরিবারে কারো স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থেকে থাকে, তবে এই পরীক্ষা করানো আরো জরুরি।
কিডনি, মূত্রথলি ও মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে দেখা যায়। অন্তত অর্ধেক নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এ ধরনের একটি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান না করা এবং প্রস্রাব আটকে রাখা শহরের নারীদের মধ্যে এমন সংক্রমণের একটি সাধারণ কারণ। বিভিন্ন অটোইমিউন রোগ এবং থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
অনিদ্রা, দীর্ঘদিন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখের ভেতরে ক্ষত, হঠাৎ ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি কোনো উপসর্গে অনেকদিন যাবত ভুগতে থাকলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ক্ষয় এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত তরুণ নারীদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। তাই চল্লিশ বছর পার হলে কোনো লক্ষণ না প্রকাশ পেলেও নিয়মিত রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল এবং ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্যও নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি। বিশ্বে নারীর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃৎপিণ্ড ও ধমনীর রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ। এজন্য বুকে ব্যথা না হলেও কোনো এক হাত বা দুই হাতে ব্যথা, গলা ও ঘাড়ে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা কিংবা পাকস্থলীর সমস্যা হলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
শারীরিক সুস্বাস্থ্যের সাথে সাথে নারীর মানসিক স্বাস্থ্যেও নজর দিতে হবে। কারণ বিষাদগ্রস্ততার ঝুঁকিতে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পুরুষের তুলনায় কয়েকগুণ এগিয়ে থাকেন। সামাজিক কাঠামো ও জীবনযাপনের ধরন বিষাদগ্রস্থতার একটি বড় কারণ। গর্ভধারণের পর (পোস্টাপার্টাম) এবং মাসিক ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর (মেনোপজ) অনেক নারী বিষাদগ্রস্ততায় আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া দাম্পত্য সম্পর্ক এবং যৌন জীবনও বিষাদগ্রস্ততার একটি বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শারীরিক সমস্যাকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়, মানসিক সমস্যাকে কিন্তু ততটাই অবহেলা করা হয়। কিন্তু সামগ্রিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য নারীর মানসিক অবস্থার প্রতি গুরুত্বারোপ করার কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবে আজ ৮ মার্চ পালন করা হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। এই দিনে অন্যান্য বিষয়াবলির পাশাপাশি নারী স্বাস্থ্যের প্রতি যথাযথ এবং সমভাবে গুরুত্ব প্রদান করাই হোক আজ ও আগামীর অঙ্গীকার। তবেই আমরা নিশ্চিত করতে পারব একটি সামগ্রিক সুস্থ ও নীরোগ সমাজের ভবিষ্যত।